সেইরাতে এরাম থেকে বের হয়ে র্যাবের হাতে পড়েনি কৌশিক আর শরৎ। তাদের ধরেছে টহল পুলিশ। কৌশিক ১০০টাকা গুঁজে দিয়ে পার পেতে চেয়েছিল। পারেনি। জরুরি আইনে ঘুষ খাওয়া নিষেধ।
শরৎ থাকায় লাভ হয়েছে। ও খুব সুন্দর করে কথা বলে। পুলিশ তাই পেটালো না। জেলে পাঠানোর জন্য কোর্টে চালান দিল। শরৎ জজ সাহেবকেও পটিয়ে ফেলল। দুজনকে উনি একটা সুযোগ দিলেন। বললেন, ভদ্রঘরের ছেলেপুলে আপনারা। আমার মায়া হচ্ছে। তাই জেলে না পাঠিয়ে একটা সুযোগ দিচ্ছি। আজ এরামে আবার যাবেন। আপনাদের কাজ হবে মানুষকে মদ না খেতে উদ্বুদ্ধ করা। কাল আসবেন আবার।
পরদিন দুজন কোর্টে গেল। জজ সাহেব শরৎকে জিজ্ঞেস করলেন- ক্যামনে কি? শরৎ বলল, আমি কালকে ১০ জনকে চিরদিনের জন্য মদ খাওয়া ছাড়তে প্রেরণা জুগিয়েছি। উৎসুক বিচারক বললেন, কিভাবে? শরৎ বলল কাগজ আর কলম দেন। দেওয়া হলো। শরৎ বলল, দুটো বৃত্ত একেছি এরকম। একটা ছোট একটা বড়। বলেছি, এই বড় বৃত্তটা মদ খাওয়ার আগে মানুষের মগজ যেমন থাকে। আর ছোটটা হচ্ছে মদের নেশায় চুর হওয়া মানুষের। ওরা আমার কথায় নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে।
জজ খুবই খুশী। এবার কৌশিকের পালা। সে বলল, মাননীয় আদালত আমি তো দুশো জনকে মদ খাওয়া ছাড়িয়েছি। জজ চেয়ার থেকে ছিটকে পড়েন আর কি!! কিভাবে। কৌশিক বলে ওই একই ভাবে বৃত্ত একে। জজ বলে- ক্যামনে কি? কৌশিক বলল, আমি বৃত্ত দুটো দেখালাম। আর সবচেয়ে ছোট বৃত্তটা দেখিয়ে বললাম এটা জেলে ঢোকার আগে গুহ্যদ্বারের ছবি...
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment